একটা বাচ্চাকে টিসি দিলেই কিংবা এসএসসিতে এক দুই বছর ফেল করলেই বাচ্চাটার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে কেন? জীবন কি এতই পচনশীল? আসলে নষ্ট আমাদের মানসিকতা। সবাইকেই অনার্স মাস্টার্স করতে হবে কেন? যেই শিশুটা স্কুলের পড়ালেখায় ভাল না, সে তো অন্য কিছুতে ভাল হতে পারে? কি পারে না? আসুন দেখি পৃথিবীর কিছু বিখ্যাত ব্যাক্তিদের নাম যারা স্কুল থেকে টিসি খেয়েছিলেন, কিন্তু সেটাই তাঁদের জীবনের সফলতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
১। রিচার্ড ব্রান্সনঃ আমেরিকান $৪.৯ বিলিয়ন ডলার কোম্পানি ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। ১৫ বছর বয়সে লেখাপড়ার বোগাস সিস্টেম নিয়ে দুটো কথা বলার দ্বায়ে তাঁকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হোয়। তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি সঠিক ছিলেন।
২। ডেভিড কার্প, ১৫ বছর বয়সে স্কুল থেকে বের করে দেবার পর Tumblr খোলেন, যেটা পরে ইয়াহুর কাছে $১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে বেঁচে দেন।
৩। জনি ডেপ, কে চেনে না তাঁকে? ক্যারিবিয়ান পাইরেট নামে খ্যাত এই দুর্দান্ত অভিনেতাকেও স্কুল থেকে টিসি দেয়া হয়েছিল।
৪। এমিনেম, জি এই গালিবাজ গায়কের জীবনেও একই ঘটনা ঘটেছিল।
৫। হলিউডের সাথে পরিচয় আছে অথচ জিম ক্যারি কে চেনে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। অথচ শৈশবে অর্থের অভাবে ইনিও স্কুলে বেশীদিন পড়তে পারেন নি।
এছাড়াও থমাস আলভা এডিসন, আলবার্ট আইনস্টাইন, প্রিন্সেস ডায়ানা, বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, বিল গেটস, ওয়াল্ট ডিজনি, এল্টন জন এনারাও সব একই কাতারের লোক। কেউ প্রাইমারি থেকে, কেউ হাই স্কুলে, কেউবা ইউনিভার্সিটি থেকে ড্রপ আউট হয়েছেন। কিন্তু তাই বলে কি তাঁদের বাবা মা কিংবা সমাজ কোনদিন বলেছেন “হারামজাদা মেট্টিক পাশ না করলে তোরে ঘরে ঢুকতে দিমু না! আমার মান সম্মান সব খাইসস! তোরে লাঙল গরু কিনা দিমু, দেশে গিয়া হাল চাষ করবি!”
স্কুলশিক্ষার চেয়ে বর্তমান যুগে স্কিল শিক্ষাটা বেশী জরুরী। আপনার সন্তানকে এমন কিছু স্কিল শিক্ষা দিন যেন স্কুল, মেট্রিক, ইন্টার, বিবিএ এম্বিএ, এইসব জুজুবুড়ীর ভয় সে না পায়।
যার স্কুল নাই তার ভয় নাই, যার স্কিল নাই তার জয় নাই।
কি, বোঝা গেছে ব্যাপারটা?
(আমাদের দেশেও এমন অনেক উদাহরণ আছে কিন্তু তাঁদের নাম বললাম না, কারণ ওই কয়েকজনের নাম সবাই জানে।)
#আশিকমজুমদার